ইংরেজি সাহিত্য কিংবা ভাষা নিয়ে আমাদের মাঝে বিশাল একটি আগ্রহ কাজ করলেও ইংরেজি ভাষার ইতিহাস সম্পর্কে আমরা খুব কম মানুষই জানি। ইংরেজি ভাষার ইতিহাস কিংবা উৎপত্তি নিয়ে খুব বেশি লেখালেখি কিংবা বই পত্তর সাধারণত চোখে পড়েনা। সারাবিশ্ব ব্যাপি ইংরেজি ভাষার যে আধিপত্য, তাতে কারো মনেই হবেনা যে এক সময় ইংরেজি ভাষাটাও ছিলো ব্রাত্য। সেসময় জ্ঞান চর্চার একমাত্র এবং মর্যাদাসম্পন্ন ভাষা ছিলো লাতিন। কিন্তু তার জৌলুশও এখন অনেকটাই ভোলার মত। বর্তমানে ইংরেজি ভাষা সর্বজন স্বীকৃত একটি ভাষা। যার উপর নির্ভর করে অনেক মানুষের জীবন, জীবিকা, এবং স্বপ্ন। নিজের ভাগ্যকে স্বপ্নের শীর্ষ চূড়ায় দেখতে এখন ইংরেজির বিকল্প নেই। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এখন ইংরেজির জয় জয়কার। আর তাই এই ভাষাটি আয়ত্ত করতে ভাষাটির ইতিহাস সম্পর্কে জানাটাও অনেক গুরত্বপূর্ণ। আর সে চিন্তা থেকেই ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি ও ইতিহাস নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।
ইংরেজি ভাষা
ইংরেজি হলো ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা গোষ্ঠীদের জার্মানীয় পশ্চিম দলের একটি ভাষা। তবে এর উৎপত্তি হিসেবে এর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ভাষা হলো ফ্রিজীয় ভাষা। এর সাথে ওলন্দাজ, ফ্লেমিশ এবং নিম্ন জার্মান উপভাষারও সম্পর্ক রয়েছে। এক সময়ের গ্রেট ব্রিটেনের দক্ষিণাংশের দেশ ইংল্যান্ডে, খ্রিস্টীয় আনুমানিক ৬ষ্ঠ শতাব্দিতে ইংরেজি ভাষার জন্ম হলেও বর্তমানে তা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড সহ আরো বেশ কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধান ভাষা এখন ইংরেজি। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় ৩৮ কোটি মানুষ ইংরেজি ভাষায় কথা বলে। যা ভাষাভাষীর দিক থেকে তৃতীয়। তবে সারাবিশ্বে প্রচলিত এই ভাষাটির ৭০ শতাংশ শব্দ ভান্ডার এর নিজের নয়। বিদেশি শব্দ৷ বাকি ৩০ শতাংশ এর প্রাচীন রূপ বা অ্যাংলো-স্যাক্সোন ও জার্মানীয় উৎস থেকে আসা। এই ৩০ শতাংশ শব্দ ভান্ডারকেই এর খাঁটি শব্দ ভান্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চর্যাপদকে যেমন বাংলা ভাষার আদিরূপ বলা হয়, তেমনি ৮ম থেকে ১১শ শতাব্দিতে রচিত বেওউলফ কে বলা হয় ইংরেজি ভাষার আদি নিদর্শন।
শুরুর দিকে ইংরেজি ভাষার এমন আধিপত্য না থাকলেও, এই আদিপত্য বিস্তারটা শুরু হয় মূলত আঠারো শতক থেকে বিশ শতকের দিকে। সে সময় ইংরেজরা বিভিন্ন দেশে উপনিবেশ গড়ে তোলে। পাশাপাশি আমেরিকা বিশ্বের অন্যতম একটি পরাশক্তি হয়ে উঠলে, বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ইংরেজির আধিপত্য পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ইংরেজিকে বিভিন্ন দেশেই তখন সহ সরকারি ভাষা হিসেবে গন্য করা হতো। বর্তমানে ইংরেজি বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃত। ইংরেজি মাতৃভাষা নয়, এরকম প্রায় ৭৫ কোটি মানুষ বিদেশী ভাষা বা দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজিকে ব্যবহার করে। তথ্য প্রযুক্তির যুগে অর্থনীতি থেকে শুরু করে কূটনীতি পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে ইংরেজির ব্যবহার মানুষকে ইংরেজির উপর আরো বেশি নির্ভরশীল করে তুলছে।
ইংরেজি ভাষার বিবর্তনের ইতিহাস
মূলত জার্মানীয় গোত্রদের ভাষা হতে ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি। এই গোত্রগুলো ৪৫০ খ্রীস্টাব্দের দিকে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জে আসে এবং সেখানে বসবাসকারী দক্ষিণ ও পূর্ব উপকূলের কেল্টীয় ভাষাভাষী আদিবাসীদের উত্তরে ও পশ্চিমে হটিয়ে দেয়। মূলত এই গোত্রগুলোর মুখের ভাষাই ইংরেজি ভাষার ভীত গড়ে তোলে। ৬০০ খ্রীস্টাব্দে দক্ষিণ জার্মানির উচ্চ জার্মান উপভাষা এবং উত্তর জার্মানির নিম্ন জার্মান উপভাষা ও ওলন্দাজ ভাষা ইংরেজি ভাষাকে প্রভাবিত করে। পরবর্তী সময়ে প্রাচীন নর্স ভাষাও ইংরেজিকে ভালো রকমের প্রভাবিত করে।
১০৬৬ সালে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে উত্তর ফ্রান্সের নরমদি অঞ্চলের নর্মান জাতি ইংল্যান্ড আক্রমণ করে। নর্মানরা যখন ইংল্যান্ড কে দখল করে নেয়, তখন এর পরবর্তী ৩০০ বছর ইংল্যান্ড শাসন করেন নর্মান বংশোদ্ভূত রাজারা। আর সে সময় রাজকীয় এবং প্রশাসনিক যাবতীয় কাজ নর্মানদের কথ্য ভাষাতেই হতো। আর তাদের ভাষা ছিলো প্রাচীন ফরাসি ভাষা। আর একারণেই ইংরেজি ভাষার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফরাসি শব্দ ঢুকে যায়, এবং ইংরেজি ভাষার রূপ পালটে মধ্য ইংরেজির আবির্ভাব হয়। প্রাচীন ও মধ্য ইংরেজির দুটি নিদর্শন হলো বেওউলফ এবং চসারের রচিত দ্য ক্যান্টারবেরি টেলস।
১৫০০ সালের দিকে ইংরেজি তার নতুন রূপে প্রবেশ করে। উদ্ভব ঘটে আধুনিক ইংরেজি ভাষার। শেকসপিয়ারের রচিত গ্রন্থ সমূহ থেকে শুরু করে আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের বেশিরভাগ লেখা এই আধুনিক ইংরেজি ভাষাতেই।
প্রাচীন ইংরেজি (৫ম থেকে ১১ শতক)
পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উল্লেখযোগ্য ইংরেজি অধ্যাপক অ্যালবার্ট বাঘ তার প্রকাশিত রচনাগুলির মধ্যে উল্লেখ করেছেন যে, প্রায় ৮৫ শতাংশ প্রাচীন ইংরেজি আর ব্যবহার করা হয় না। তবে ইংরেজি ভাষার বেঁচে থাকা উপাদানগুলোই আজ আধুনিক ইংরেজি ভাষার ভিত্তি তৈরি করে।
প্রাগৈতিহাসিক বা আদিম ইংরেজি (৫ম থেকে ৭ম শতক)
অ্যাংলো-স্যাক্সনদের খুব সীমিত কিছু উদাহরণ ছাড়া এই সময়টির উল্লেখযোগ্য কোনো সাহিত্য কর্ম কিংবা দলিল পাওয়া যায়না।
প্রারম্ভিক প্রাচীন ইংরেজি (৭ম থেকে ১০ম শতক)
এই সময়কালে ইংরেজি ভাষার প্রাচীনতম নথিভুক্ত কিছু দলিল এবং প্রমাণ রয়েছে, যা সাইনিউলফ এবং অ্যালডেলমের মতো উল্লেখযোগ্য কিছু লেখক এবং কবিদের অস্তিত্বের জানান দেয়। যারা অ্যাংলো-স্যাক্সন সাহিত্যে বিশ্বের খ্যাত নামা ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
পরবর্তী সময়ের প্রাচীন ইংরেজি (১০ম থেকে ১১ শতক)
এটিকে পুরাতন ইংরেজি ভাষার চূড়ান্ত পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। ইংল্যান্ডে নরম্যানদের আক্রমণের মাধ্যমে ইংরেজি ভাষায় এ যুগের সূচনা হয়। এই সময়কাল শেষে ইংরেজি ভাষা প্রাথমিক মধ্য ইংরেজির দিকে ধাবিত হয়।
প্রাথমিক মধ্য ইংরেজি
এই সময়কালেই ইংরেজি ভাষা, বিশেষ করে ইংরেজি ব্যাকরণ, সিনট্যাক্সের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়ে বিকশিত হতে শুরু করে। সিনট্যাক্স হল “একটি ভাষায় সুগঠিত বাক্য তৈরি করার জন্য শব্দ এবং বাক্যাংশের বিন্যাস”। পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ সরকার এবং এর ধনী নাগরিকরা যখন ইংরেজিকে নিজেদের ভাষা হিসেবে গ্রহণ করতে শুরু করলো, তখনও ১৪ শতক পর্যন্ত নর্মান এবং ফরাসি ভাষাগুলো খুবই প্রভাবশালী ভাষা ছিলো।
এখানে এই সময়টিতে মজার একটি বিষয় হলো, সময়কালটিকে কেস এন্ডিং হারানোর জন্য দায়ী করা হয়েছে। যার ফলে শেষ পর্যন্ত ভাষার আরও জটিল বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটি রুপ তৈরি হয়েছিলো। কেস এন্ডিং হলো একটি প্রত্যয় যা বিশেষ্য, সর্বনাম বা বিশেষণের উপর এর ব্যাকরণগত কার্যকারিতা নির্দেশ করে।
পরবর্তী সময়ের মধ্য ইংরেজি
১৪ শতকের দিকে লন্ডন অঞ্চলের আশেপাশে বিভিন্ন উপভাষা গড়ে উঠতে থাকে। সে সময়ে বেশ কিছু ইংরেজি পন্ডিতের আবির্ভাব ঘটে। জিওফ্রে চসার, যাকে আমরা ইংরেজি সাহিত্যের জনক হিসেবে জানি, বিখ্যাত লেখক ক্যান্টারবেরি টেলস, যাকে সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে জানা হয়, তারা প্রত্যেকেই এই সময়কার সৃষ্টি। তারা ফরাসি এবং লাতিন ভাষার পাশাপাশি ইংরেজিকেও কম বেশি গুরত্ব দিতে শুরু করেন এবং কিছু চরিত্রকে নর্দান উপভাষাতেও উল্লেখ করেন।
১৪ শতকের মাঝামাঝি সময়ে চ্যান্সারি ইংরেজি স্ট্যান্ডার্ডের প্রবর্তন করা হয়। ইতিহাস বলে যে, এই সময়ের মধ্যে লন্ডনে প্রধান দপ্তরগুলিতে যারা কেরানি হিসেবে কাজ করতো, তারা সবাই ফরাসি এবং লাতিন, উভয় ভাষাতেই পারদর্শী ছিলো। তাদের কাজ ছিল সরকারী আদালতের নথি প্রস্তুত করা এবং ১৪৩০ শতকের আগে, উপরোক্ত উভয় ভাষাই প্রধানত রাজপরিবার, চার্চ এবং ধনী ব্রিটিশরা ব্যবহার করত। পরবর্তী সময়ে, কেরানিরা একটি উপভাষা ব্যবহার করা শুরু করে। যা শুনতে আমাদের বর্তমান আধুনিক ইংরেজির মত শোনাতো। এসব কেরানিরা শক্তিশালী একটি যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে এই উপভাষাটির ব্যবহার শুরু করে, যা পরবর্তীতে আধুনিক ইংরেজি ভাষার ভীত তৈরি করে দেয়।
প্রারম্ভিক আধুনিক ইংরেজি
এই সময়ের মধ্যে ইংরেজি ভাষার পরিবর্তনগুলো ১৫ তম থেকে ১৭ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত ঘটেছিল এবং এটি শুধুমাত্র উচ্চারণ, শব্দভাণ্ডার বা ব্যাকরণের পরিবর্তনই নয় বরং ইংরেজি রেনেসাঁর সূচনাকেও নির্দেশ করে।
ইংরেজি রেনেসাঁর প্যান-ইউরোপীয় সমগোত্রীয় ইতালীয় রেনেসাঁর তুলনায় অনেক শান্ত একটি ভীত রয়েছে এবং ১৫ শতকের শেষের দিকে তার সূচনা হয়েছিল। এটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুনরুত্থানের সাথে যুক্ত ছিল এবং এলিজাবেথের যুগে গৌরবের একটি আসন অর্জন করে নিতে সক্ষম হয়েছিলো।
পরবর্তী সময়ে ১৬ শতকের শেষের দিকে ক্যাথলিক বাইবেলের প্রথম সম্পূর্ণ অনুবাদ করা হয় এবং এটি তখনকার সময়ে খুব উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে না পারলেও, এটি ইংরেজি ভাষার ক্রমাগত বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী ইংরেজিভাষী ক্যাথলিক জনগোষ্ঠীর জন্যে এটি বিশাল একটি প্রাপ্তি ছিলো।
১৬ শতকের শেষ এবং ১৭ শতকের শুরুতে অভিনেতা এবং নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের লেখাগুলি পুরো বিশ্বে ঝড় তুলে দেয়।
এরপর ১৭ শতকের শুরুর দিকে আমরা ইংরেজি উপনিবেশগুলোকে গড়ে উঠতে দেখি। যাকে বলা হয়, “দ্য নিউ ওয়ার্ল্ড”। জেমসটাউন, ভার্জিনিয়া, এবং আমেরিকার ইংরেজির পাশাপাশি ইংরেজি উপনিবেশগুলোও তাদের ভাষাতে নতুন নতুন শব্দ যোগ করতে শুরু করে এবং ইংরেজি ভাষায় যুক্ত করে।
১৭, ১৮, এবং ১৯ শতকের দিকে স্বেচ্ছায় এবং অনিচ্ছাকৃত অর্থাৎ যাদের ক্রীতদাস হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হতো, চারদিকে তারা ছড়িয়ে পড়তে থাকে, এবং ইংরেজির উপভাষাগুলো তখন জীবিত হয়ে উঠতে থাকে।
পরবর্তী সময়ের আধুনিক ইংরেজি
১৮, ১৯ এবং ২০ শতকের শুরুর দিকে শিল্প বিপ্লব এবং ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশবাদ ইংরেজি ভাষার বিশাল পরিবর্তনের স্বাক্ষী হয়েছিলো।
বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের কারনে সেগুলোকে ভালোভাবে বিশ্লেষণ এবং প্রচারের স্বার্থে সে সময়ে নতুন শব্দ, বাক্য, কনসেপ্টের প্রয়োজন ছিলো। আর একারনেই সে সময়ের বিজ্ঞানী ও পন্ডিতরা গ্রিক এবং লাতিন ভাষা থেকে বিভিন্ন শব্দ তৈরি করেন এবং তা ইংরেজি ভাষায় যুক্ত করেন। ব্যাকটেরিয়া, হিস্টোলজি, নিউক্লিয়ার, বায়োলজি, ইত্যাদি শব্দগুলো ছিলো সে সময় পন্ডিতদের তৈরি করা। এই শব্দগুলো তৈরি করা এটা ভেবে যে কেউ অবাক হতে পারে। তবে এখন যেমন মানুষ বিভিন্ন কোর্স করার মাধ্যমে নতুন একটি ভাষার বিভিন্ন শব্দ শেখে, তখনকার বিষয়টিও অনেকটা এমনই ছিলো।
উপনিবেশবাদ এই জিনিসটিকে আরো শক্তিশালী করে তোলে। এটা বলা যেতে পারে যে, ইংরেজি উপনিবেশবাদের দেশগুলো নতুন একটি ভাষাকে জানা, শেখা এবং সেটাকে কাজে লাগানোর একটা প্রবনতা উপলব্ধি করছিলো। যখন বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নতির মাধ্যমে দেখা গেলো যে, এই বিষয়গুলো একে অপরের সাথে ভাগাভাগি করার একটি সুযোগ রয়েছে, তখন ইংরেজ শাসকরা চিন্তা করলো যে, এইসব দেশের মানুষগুলোকে শুধু ইংরেজি ভাষা শিক্ষা নয়, পাশাপাশি তাদের সমাজ সংস্কৃতি কেও ইংরেজিদের আয়ত্বে নিয়ে আসা যায়। বিশেষ করে আফ্রিকা এবং এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে।
তাদের এই চিন্তাভাবনাটা ইংরেজি ভাষার জন্যে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলো অবশ্য। কারন সে সময়ে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষা ইংরেজি ভাষার সাথে সংযুক্ত হতে থাকে। এবং আজও পর্যন্ত তা ইংরেজি ভাষা হিসেবেই গন্য।
একবিংশ শতাব্দীতে ইংরেজি
বর্তমান সময়ে কেউ যদি বিভিন্ন কোর্সের মাধ্যমে ইংরেজি ভাষা শেখা শুরু করে, তাহলে সে বর্তমান ইংরেজি এবং প্রাচীন ইংরেজির মাঝে তেমন মিল খুঁজে পাবেনা। স্মার্টফোন এবং মেসেজিং প্রযুক্তির কল্যাণে ইংরেজি ভাষা অনেকটা উপহাসের কারনে ব্যবহার হলেও বর্তমান ইংরেজি ভাষা অনেক বেশি সুসংগঠিত এর ব্যাকরণ অত্যন্ত পরিমার্জিত হয়ে উঠেছে। যার জীবন্ত একটি উদাহরণ ব্রিটিশ রাজ পরিবার। এই বিষয়টি যে কাউকে বোঝাবে যে, সুন্দর এবং সুসংগঠিত ইংরেজির ব্যবহার যে কাউকে অনেক বেশি মর্যাদা সম্পন্ন করে তোলে। এই যে আপনি পড়ছেন, এটি একটি ভাষার মৌলিক ইতিহাস এবং বিকাশ, যা আক্ষরিক অর্থে হিংস্র সভ্যতার মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধের অঙ্গার থেকে উদ্ভূত হয়েছিল।
বর্তমান পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করছে। ভাষাভাষীর দিক থেকে ম্যান্ডারিন, হিন্দি এবং স্পেনিশ ভাষার সাথে রীতিমতো যুদ্ধ করে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইংরেজি। প্রতিনিয়ত এই ভাষার ব্যবহারও বাড়ছে। এমনিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের বিশ্বব্যাপী আধিপত্য ইংরেজি ভাষার কদর্যতাকে কয়েকগুন বাড়িতে দিয়েছে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক, গবেষণা সর্বখাতে এখন ইংরেজির জয় জয়কার। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই তাদের নিজেদের দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজিকে প্রাধান্য দিচ্ছে। প্রশাসনিক থেকে শুরু করে সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে ইংরেজি। আর তাই বিশ্বায়নের এই যুগে ইংরেজি ভাষা এবং ইংরেজি ভাষার ইতিহাস সম্পর্কে জানাটাও অতীব জরুরি। আর তাই প্রত্যাশা, আমাদের এই প্রচেষ্টায় পাঠক সামান্যতম হলেও উপকৃত হয়েছেন। জ্ঞান চর্চার ধারা থাকুক অব্যাহত।