🇰🇷 জেনে নিন দ্রুত কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায়

কোরিয়ান ভাষা (한국어, হ্যাঙ্গুল) কোরিয়া এবং চীনের রাজবংশীয় কোরিয়ান স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মূল ভাষা। বাংলাদেশ থেকে কোরিয়ায় ভ্রমণ, কাজের ভিসায় যাওয়া, উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ কিংবা সাংস্কৃতিক জ্ঞানার্জনের জন্য কোরিয়ার ভাষা জানা গুরুত্বপূর্ণ। কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায়গুলো জেনে ৩-৬ মাসে সহজেই এটি শিখতে পারবেন।

হাজার বছরের পুরনো যে প্রাচীন ভাষাগুলো পৃথিবীতে টিকে আছে তার মধ্যে অন্যতম কোরিয় ভাষা। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ায় সর্বমোট প্রায় ৮ কোটি মানুষ কোরীয় ভাষায় কথা বলে। এছাড়াও চীনে ২০ লক্ষ, যুক্তরাষ্ট্রে ১০ লক্ষ, জাপানে ৫ লক্ষেরও বেশি এবং কানাডা ও উজবেকিস্তানে কোরিয়ানভাষী মানুষ রয়েছে। ভাষা ব্যবহারকারী জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বে কোরিয়ার হ্যাঙ্গুল ভাষার অবস্থান ১২ তম।

কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায় অনুসরণ করে কোরিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সৌন্দর্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলে কোরিয়ার ভাষা সম্পর্কিত সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হলো।

কোরিয়ান ভাষা শেখার প্রয়োজনীয়তা

বাংলাদেশের মানুষের কোরীয় ভাষা শেখার প্রতি আগ্রহের প্রধান কারণ কোরিয়ায় যাওয়া। বর্তমানে কোরিয়া দুইভাগে বিভক্ত। যথা: উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া। একদিকে দক্ষিণ কোরিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর দেশগুলোর একটি। অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়া আধুনিকতা থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। 

উন্নত দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৬টি দেশ থেকে বিভিন্ন সময় দক্ষ জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়। তন্মধ্যে বাংলাদেশ থেকেও কোরিয়ায় যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কোরিয়ার ভাষায় দক্ষ হলে এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম – ইপিএস (Employment Permit System – EPS) এর মাধ্যমে কোরিয়া যেতে পারবেন।

২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকার এবং কোরিয়ান সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির শর্তানুযায়ী ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশিরা সরকারিভাবে সবচেয়ে কম খরচে কোরিয়া যেতে পারেন। তবে এর জন্য কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায় অনুসরণ করে কোরিয়ার ভাষা শিখতে হবে। তারপর সেই ভাষায় একটি পরীক্ষা দিতে হয়। শুধুমাত্র উত্তীর্ণরাই কোরিয়ায় যেতে পারবে। 

বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানে (Samsung, LG, Hyundai etc.) দক্ষ কর্মী প্রয়োজন হয়। সেখানে আবেদনের সময় কোরিয়ার ভাষায় দক্ষ ব্যক্তিরাই প্রাধান্য পায়। তাছাড়া সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অধ্যয়নের জন্য যেতে বা স্কলারশিপ পেতেও কোরীয় ভাষায় দক্ষতা থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায়

কোরিয়ার হ্যাঙ্গুল ভাষা বিভিন্ন উপায়ে শেখা যায়। কয়েকটি কার্যকরী উপায় হলো:

• কোরিয়ান ভাষার ট্রেনিং সেন্টার বা সরকারি ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে।
• অনলাইনে কোরিয়ার ভাষা শিক্ষা কোর্স করে।
• কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা বইয়ের মাধ্যমে। 
• কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা অ্যাপ ব্যবহার করে।

বই পড়ে এবং মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ভাষার প্রাথমিক ধারণা পেলেও দক্ষ হওয়া কঠিন। তাই ট্রেনিং সেন্টার কিংবা অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে এই ভাষা শেখা বেশি কার্যকর।

সরকারি ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা

বাংলাদেশের সরকারিভাবে বিভিন্ন ভাষা শিক্ষার কেন্দ্র রয়েছে। কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায় হিসেবে বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এছাড়াও আরো কিছু ইনস্টিটিউট রয়েছে। ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তির পূর্বেই সেগুলো সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য জানা গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (BKTTC)

বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, বাংলাদেশ ও কোরিয়ান সরকারের যৌথ চুক্তিবদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯৪২ সালে প্রথম যাত্রা শুরু করে। এখানে টেকনিক্যাল ট্রেনিং এর পাশাপাশি কোরিয়ার ভাষার কোর্সও পরিচালনা করা হয়। এখানে নিয়োগকৃত ট্রেইনার গন/ শিক্ষকরা – KUT / KOICA / JICA / JOCV / ILO ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। 

কোরিয়ায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে সেখানের ভাষা শেখার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য প্রতিষ্ঠান এটি। এখানে অভিজ্ঞ শিক্ষকের কাছে কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায় রয়েছে। পাশাপাশি টেকনিক্যাল কোর্স করে চাকরির উদ্দেশ্যে কোরিয়া যেতে পারবেন।

ঠিকানা: মিরপুর রোড, দারুসসালাম, ঢাকা।

আধুনিক ভাষা শিক্ষা ইন্সটিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের কোর্সটিও কোরিয়ার হ্যাঙ্গুল ভাষা শেখার জন্য উপযুক্ত। তবে এখানের কোর্স খুবই দীর্ঘমেয়াদী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাধারণত ৪ টি সার্টিফিকেট কোর্স রয়েছে। যথা:

• জুনিয়র সার্টিফিকেট;
• সিনিয়র সার্টিফিকেট;
• ডিপ্লোমা;
• উচ্চতর ডিপ্লোম।

প্রতিটি কোর্সের সময়কাল প্রায় ১ বছর মেয়াদী এবং প্রায় ১২০ ঘন্টার। প্রতিবছর জুলাই মাস থেকে কোর্স শুরু হয়ে পরবর্তী জুন মাসে শেষ হয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি (HSC) পাশ থাকলেই ভর্তি হতে পারবেন। তবে, প্রথমে জুনিয়র সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্ন করেই পরবর্তী কোর্সগুলোতে এনরোল (Enroll) করতে পারবেন। কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায়ে পরিপূর্ণ দক্ষ হতে এটি আদর্শ কোর্স।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরীয় ভাষা শিক্ষার কোর্স পরিচালনা করা হয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি (HSC) পাশ থাকলেই ভর্তি হতে পারবেন। ৫ মাস মেয়াদী এই কোর্সে সর্বমোট ৬০ ঘণ্টার ক্লাস করানো হবে। এই কোর্সের অধীনে সর্বমোট আসন সংখ্যা ৪০টি। প্রতিবছর ০১ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত কোর্সের ভর্তি কার্যক্রম চলে।

ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অব ল্যাংগুয়েজেস (BIL)

ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইনস্টিটিউট অব ল্যাঙ্গুয়েজেস থেকে কোরিয়ার ভাষা শিখতে পারবেন। এটি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভাষায় দক্ষ করে তুলতে কাজ করে। এর অনেকগুলো শাখা রয়েছে। কোরিয়া ছাড়াও অন্যান্য দেশের ভাষা এখানে শিখতে পারবেন। এখানে লেভেল ওয়ান (L1) ও লেভেল টু (L2) দুইটি কোর্স রয়েছে। এইচএসসি (HSC) পাশ হলেই কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায়ে এখানে ভাষা শিখতে পারবেন।

বেসরকারি কোরিয়ান ভাষা ট্রেনিং সেন্টার

বাংলাদেশে বহু বেসরকারি ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে যেখানে কোরিয়ার ভাষা সহ অন্যান্য দেশের ভাষা শিখতে পারবে। তবে এগুলোতে খরচ তুলনামূলক বেশি। নিচে কিছু বিশ্বস্ত বেসরকারি কোরিয়ার ভাষা ট্রেনিং সেন্টারের তথ্য দেওয়া হলো:

কিং সেজং ইনস্টিটিউট ঢাকা ২, আইইউবি (IUB)

কিং সেজং ইনস্টিটিউট ঢাকা ২, প্রতিষ্ঠা করেছে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। এটি দক্ষিণ কোরিয়া এবং বাংলাদেশ কোরিয়ান দূতাবাসের সাথে কিং সেজং ইনস্টিটিউট ফাউন্ডেশন (KSIF) এর অংশীদারীত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইনস্টিটিউটটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কোরিয়ান অধ্যয়ন এবং কোরিয়ান সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য কাজ করে। অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের দ্বারা এখান থেকে কোরীয় ভাষা শিখতে পারবেন।

ঠিকানা: প্লট ১৬, আফতাব উদ্দিন আহমেদ রোড, ঢাকা ১২২৯।

শেল্ড ল্যাঙ্গুয়েজ একাডেমি ঢাকা (SLAD)

এটি বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য বেসরকারি ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রায় ১০ বছর ধরে দেশের বহু শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভাষায় দক্ষ করে তুলেছে এটি। অন্যান্য দেশের ভাষার পাশাপাশি কোরীয় ভাষায় অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দ্বারা এখানে কোর্স করানো হয়। কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায় হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানটি বেছে নিতে পারেন।

ঠিকানা: বাড়ি – ৭৭, ৪র্থ তলা, রোড নং- ১৬, ঢাকা ১২৩০। 

কোরিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রেনিং সেন্টার (KLTC)

কেএলটিসি (KLTC) বা কোরিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রেনিং সেন্টার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এখানে বিশেষভাবে কোরীয় ভাষার কোর্স করানো হয়। একইসাথে শিক্ষার্থীদের কোরিয়ান ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও যথাযথ সহযোগিতা করে। সারাদেশে এই প্রতিষ্ঠানের ১৭টি শাখা রয়েছে।

হেড অফিসের ঠিকানা: গুলশান বাড্ডা লিঙ্ক রোড, ঢাকা-১২১২। 

এছাড়াও সারাদেশে বেসরকারিভাবে বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেনিং সেন্টার থেকে কোরীয় ভাষা শিখতে পারবেন। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির পূর্বে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

অনলাইনে কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা কোর্স

বিভিন্ন অনলাইন কোর্স থেকেও কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায় রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনলাইন কোর্স, ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও কোর্স থেকে অনলাইনে কোরীয় ভাষা শেখা যায়। 

কোরীয় ভাষা শেখার জন্য বাংলাদেশের সেরা কিছু ফ্রি অনলাইন কোর্সের ওয়েবসাইট হলো:

• ঘুড়ি লার্নিং.কম (ghoorilearning.com) এর- “কোরিয়ান ভাষা অনলাইন কোর্স।”
• কোরিয়া টু বাংলা.কম (koreatobangla.com) এর- “কোরিয়ান ভাষার বেসিক টু এ্যাডভান্স অনলাইন কোর্স।”
• কোরিয়ান পাঠশালা.কম (koreanpathshala.com) এর- “কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা অনলাইন কোর্স।”

অনলাইনে ঘরে বসে কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায় করে দিয়েছে এই ওয়েবসাইট গুলো। তাছাড়া এই কোর্সগুলো যেকেউ-ই বিনামূল্যে করতে পারবে।

এছাড়াও বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল থেকে ধারাবাহিকভাবে ভাষা শিক্ষার ভিডিও দেখে কোরীয় ভাষা শিখতে পারবেন। ফ্রি ভিডিও কোর্স পাবলিশ করা আছে এমন কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল হলো: 

• Korea Bangla Channel, 
• Easy Learn With Rakib, 
• Alamin 707, 
• Korea Vs Bangla TV, 

ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে শেখার চেয়ে ইউটিউবে ভিডিও দেখে শেখা বেশি কার্যকর হতে পারে। এক্ষেত্রে বেশি তথ্য পাওয়া এবং সরাসরি হাতে-কলমে শেখার সুযোগ রয়েছে।

কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা বই

বাংলাদেশী বিভিন্ন লেখকের কোরীয় ভাষা শিক্ষা বই রয়েছে। এগুলোতে কোরীয় ভাষার বিস্তারিত তথ্য এবং ধারাবাহিকভাবে কোর্স আকারেও অধ্যায় রয়েছে। আপনি বই পড়তে ভালোবাসলে এটি আপনার জন্য উপযুক্ত কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায় হতে পারে। সেরা কিছু বই হলো:

• ‘প্রফেসর মাহীনূর সুলতানা’ এর লেখা- “৩০ দিনে শিখুন আধুনিক পদ্ধতিতে কোরিয়ান ভাষা।”
• ‘মোঃ নূরুল ইসলাম’ এর লেখা- “৩০ দিনে কোরিয়ান ভাষা শিখুন।”
• ‘রিপন ডিকোস্টা’ এর লেখা- “সহজ কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা।”
• ‘তানজিমুল ইসলাম’ এর লেখা- “কোরিয়ান ভাষার টেক্সট বুক (মূল বই + বাংলা অনুবাদ + সিডি)।”

এছাড়াও আরো অন্যান্য কোরীয় ভাষা শিক্ষা বই রয়েছে। স্থানীয় বাজারের লাইব্রেরীতে এই বইগুলো না পেলেও অনলাইন থেকে ক্রয় করতে পারবেন। রকমারি.কম (Rokomari.com), ওয়াফি লাইফ.কম (Wafilife.com), বইবাজার.কম (Boibazar.com) দারাজ.কম (Daraz.com) ইত্যাদি ই-কমার্স সাইট থেকে এই বইগুলো পাওয়া যাবে।

কোরিয়ান ভাষা শেখার মোবাইল অ্যাপ

হাতে থাকা মোবাইলে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ইন্সটল করেও কোরীয় ভাষা শিখতে পারবেন। এক্ষেত্রে অধিকাংশ অ্যাপসেই কোন অর্থ প্রদান করতে হয় না। কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায় হিসেবে সেরা কিছু অ্যাপস হলো:

• ডুয়োলিঙ্গ;
• আমের ভাষা;
• কোরিয়ান নিমো;
• কোরিয়ান বাক্যাংশ এবং শব্দ শিখুন;
• সেজং কোরিয়ান ব্যাকরণ;
• সহজভাবে কোরিয়ান শিখুন।

এসকল অ্যাপস ব্যবহার করে কোরীয় ভাষায় প্রাথমিক দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব।

দ্রুত কোরীয় ভাষা শিক্ষার ধারাবাহিক ও সহজ প্রক্রিয়া |  নিজে নিজে কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায়

কোরীয় ভাষা শিখতে আমরা বিভিন্ন কোর্স, মোবাইল অ্যাপ, বই ব্যবহার করতে পারি। তবে প্রতিটি মাধ্যমেই একটি ধারাবাহিকতা অনুসরণ করতে হবে। এতে করে দ্রুত এই ভাষায় পারদর্শী হতে পারবেন। কোরীয় ভাষা শিক্ষার ধারাবাহিকতা নিচে বিশ্লেষণ করা হলো:

কোরিয়ান ভাষার বর্ণমালা শিক্ষা

কোরিয়ার ভাষা শেখার জন্য সর্বপ্রথম কার্যকরী পদক্ষেপ হলো বর্ণমালা শিক্ষা। ভাষা বুঝতে পারা ও বলার পাশাপাশি লেখা ও পড়তে পারার দক্ষতা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সমগ্র কোরিয়ার সরকারি ভাষা একই। তবে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াতে এর লেখ্য রূপের ভিন্নতা রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়াতে এর লেখ্য রূপের নাম হ্যাঙ্গুল (한국어)। উত্তর কোরিয়াতে ব্যবহৃত লেখ্য রূপের নাম ‘জোসন গুল’ (조선굴)। কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায়ে আমরা হ্যাঙ্গুল বর্ণমালার রূপ-কেই প্রাধান্য দেই।

বর্তমানে কোরিয়ার হ্যাঙ্গুল ভাষায় ব্যবহৃত বর্ণমালা-

• মৌলিক স্বরবর্ণ – ১০টি (기본 모음 = 10개)
• সংযুক্ত স্বরবর্ণ – ১১টি (이중 모음 = 11개)
• মৌলিক ব্যঞ্জনবর্ণ – ১৪টি (기본 자음 = 14개)
• জোড় ব্যঞ্জনবর্ণ – ০৫টি (쌍 자음 = 05개)

এই বর্ণগুলো অনেকটাই সরল প্রকৃতির। তবে ‘লাতিন’ (Latin) বর্ণমালা থেকে এর বর্ণগুলো সম্পূর্ণ পৃথক।

কোরিয়ান ভাষার মৌলিক স্বরবর্ণ

কোরিয়ান বর্ণমালায় স্বরবর্ণ-কে ‘মোঊম

(기본 모음)’ বলা হয়। ১০টি মৌলিক স্বরবর্ণ হলো:

• ㅏ 아 = (আ) 
• ㅑ 야 = (ইআ) 
• ㅓ 어 = (অ) 
• ㅕ 여 = (ইঅ) 
• ㅗ 오 = (ও) 
• ㅛ 요 = (ইও) 
• ㅜ 우 = (উ) 
• ㅠ 유 = (ইউ) 
• ㅡ = ঊ/ 으 = ঊ 
• ㅣ= ই/ 이 = ই

কোরিয়ান ভাষার ব্যঞ্জনবর্ণ

কোরিয়ার হ্যাঙ্গুল ভাষার ১৪টি ব্যঞ্জনবর্ণ হলো:

• ㄱ গিয়ক = খ,গ,ক 
• ㄴ নিয়ন = ন,ণ 
• ㄷ দিগুত = দ,ত 
• ㄹ রিউল = র,ল 
• ㅁ মিউম = ম 
• ㅂ বিউপ = ফ,ব,প 
• ㅅ সিওত = ছ,স,ত 
• ㅇ ইউং = ং,ঙ 
• ㅈ জিউত = ছ,জ,ত 
• ㅊ ছিউত = ছ 
• ㅋ খিউক = খ 
• ㅌ থিউত = থ,ট 
• ㅍ ফিউপ = ফ 
• ㅎ হিউত = হ 

বর্ণমালা পড়তে ও লিখতে পারলে ভাষা শেখা সহজ হবে। কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায় হিসেবে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই ভাষার উৎপত্তির পূর্বে এর ধরন ছিলো চীনা-কোরিয়ান/ হাঞ্জা ভাষা। বর্তমানেও সেই চীনা-কোরীয় ভাষার প্রায় ৩,০০০ হাজারেরও বেশি হাঞ্জা শব্দের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। 

কোরিয়ান সংখ্যাবাচক শব্দ শিখুন 

প্রতিটি ভাষার ক্ষেত্রেই সংখ্যাবাচক শব্দ শেখা গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি কোরিয়ায় ভ্রমনে বা কর্মক্ষেত্রে গেলে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হতে পারে সংখ্যাবাচক শব্দ। অন্যান্য ভাষার তুলনায় কোরীয় ভাষায় গণনা পদ্ধতি কিছুটা জটিল। সাধারণত কোরিয়ানরা প্রসঙ্গভেদে দুইটি সংখ্যায়ন পদ্ধতি অনুসরণ করে। যথা:

(১) হাঞ্জা-অ সু (한자어 수) বা সিনো/সাইনো কোরিয়ান সংখ্যা

(২) গোইউ-অ সু (고유어 수) বা পিওর কোরিয়ান সংখ্যা

(১) হাঞ্জা-অ সু (한자어 수) বা সিনো/সাইনো কোরিয়ান সংখ্যা

সাইনো কোরিয়ান সংখ্যা পূর্ববর্তী কোরিয়ানদের চীনা ভাষা (হাঞ্জা/হানচা) থেকে এসেছে। দিন, তারিখ, বছর, পরিমাণ, ঠিকানা, ফোন নম্বর, টাকা, সময়ের ক্ষেত্রে মিনিট এবং সেকেন্ড এগুলো সিনো/ সাইনো কোরিয়ান সংখ্যা দিয়ে গননা করা হয়। কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায়ে এই সংখ্যাবাচক পদ্ধতি জানা গুরুত্বপূর্ণ।সিনো/ সাইনো কোরিয়ান সংখ্যা পদ্ধতির ১-১০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলো হলো:

১ = 일 (ইল)

২ = 이 (ই)

৩ = 삼 (ছাম)

৪ = 사 (ছা)

৫ = 오 (ও)

৬ = 육 (ইউগ)

৭ = 칠 (সিল)

৮ = 팔 (ফাল)

৯ =‌ 구 (গু)

১০ = 십 (সিব)

(২) গোইউ-অ সু (고유어 수) বা পিওর কোরিয়ান সংখ্যা

পিওর কোরিয়ান সংখ্যা এসেছে কোরিয়ার বর্তমান ভাষা থেকে। সাধারণত কোন বস্তু এবং বয়স গণনা করতে পিওর কোরিয়ান সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যেমন: ২ বছর বয়স, ২ ঘন্টা, ৫ মাস, ৫টি আম ইত্যাদি। 

এটি কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পিওর কোরিয়ান সংখ্যা পদ্ধতির ১-১০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলো হলো:

১ = 하나 (হানা)

২ = 둘 (দুল)

৩ = 셋 (সেত)

৪ = 넷 (নেত)

৫ = 다섯 (দাছত)

৬ = 여섯(ইঅছত)

৭ =이곱 (ইলগোব)

৮ =여덟(ইঅদল)

৯ =아홉 (আহোব)

১০ =열 (ইঅল)

কোরিয়ান বর্ণমালা দিয়ে শব্দ তৈরি শিখুন

কোরিয়ান শব্দগুলোতে বর্ণমালার প্রয়োগ কিভাবে করা হয়েছে তা লক্ষ্য করুন। কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায়ে এই ধাপে, বর্ণ দিয়ে নিজে নিজে শব্দ তৈরি করার চেষ্টা করুন।

কোরিয়ার হ্যাঙ্গুল ভাষায় স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ মিলিত হয়ে শব্দ গঠিত হয়। বাংলা ভাষায় শুধুমাত্র ব্যঞ্জনবর্ণ ব্যবহার করেও কিছু শব্দ গঠন করা যায়। তবে কোরীয় ভাষার শব্দে স্বরবর্ণের প্রয়োগ থাকা প্রায় আবশ্যক। শব্দ গঠনের সময় একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের মিল বন্ধন। কিছু স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণের পাশাপাশি এবং কিছু কিছু উপরে বা নিচে ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে শব্দভেদে ভিন্নতা থাকতে পারে।

কোরিয়ার হ্যাঙ্গুল ভাষার স্বরবর্ণ আকৃতির দিক থেকে দুই ধরনের। যথা: 

(১) খাড়া বা ভার্টিক্যাল (Vertical)। যেমন: ㅣ= ই

(2) আনুভূমিক বা হরিজন্টাল (Horizontal)। যেমন: ㅡ (ঊ)

সাধারণত এই দুটি বর্ণ (ㅣ= ই, এবং ㅡ = ঊ) এর ডান, বাম পাশে কিংবা উপরে ও নিচে ছোট চিহ্ন বা দাগ/লাইন টেনেই অন্যান্য স্বরবর্ণ গুলো তৈরি হয়েছে। 

যেমন: 

• ㅣ= ㅓ, ㅕ, ㅏ , ㅑ ইত্যাদি। 
• ㅡ = ㅗ, ㅛ, ㅜ, ㅠ ইত্যাদি।

শব্দ গঠনের সময়, কোরিয়ান ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে যখন স্বরবর্ণ যুক্ত হয় তখন খাড়া স্বরবর্ণ গুলো ব্যঞ্জনবর্ণের পাশে বসে। যেমন: 기, 거, 겨, 게, 계 , 가, 갸, 개 , 걔

অন্যদিকে, আনুভূমিক স্বরবর্ণ গুলো ব্যঞ্জনবর্ণের নিচে বসে শব্দ গঠন করে। যেমন: 그, 고, 교, 구, 규

এভাবে কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায় অনুসরণ করে শব্দ গঠনের প্রক্রিয়াগুলো জানুন। শব্দ পড়ার পাশাপাশি লিখে চর্চা করুন। বাংলা ভাষার মতোই এ ভাষাতেও শব্দ গঠন করতে পারলে বাক্য গঠন ও কথা বলা সহজ হবে।

অর্থসহ নিত্য প্রয়োজনীয় শব্দগুলো শিখুন

বিশ্বের সকল ভাষার মতোই কোরীয় ভাষার শব্দ ভান্ডারও বিস্তৃত। অসংখ্য শব্দ থেকে প্রথমে দৈনন্দিন প্রয়োজনে ব্যবহার হতে পারে এমন শব্দগুলো মুখস্ত করুন। যেমন: 

• শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ;
• বিভিন্ন খাবারের নাম;
• ফল-ফলাদি;
• বাড়ির বিভিন্ন তৈজসপত্র ও গঠন সম্পর্কিত শব্দ;
• সপ্তাহের সাত দিনের নাম;
• সংখ্যাবাচক শব্দ;
• নিজের পরিচয় দেওয়া ও সম্ভাষণ;
• ঠিকানা বলতে পারা;
• প্রয়োজনীয় বিষয় জিজ্ঞাসা করা;
• পছন্দ-অপছন্দ;
• অন্যান্য দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় বিষয়ে ব্যবহৃত শব্দ।

কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায় অনুসারে নিত্য প্রয়োজনীয় শব্দগুলো শিখুন। যেমন:

• হাত = 손 (সোন) 
• পা = 발 (ফাল)
• চুল = 머리카락 (মরি খারাগ) 
• মাথা = 머리 (মরি)
• চোখ = 눈 (নুন)
• বাবা = 아버지 / 아빠 (আবজি/আপ্পা) 
• মা = 어머니 / 엄마 (অমনি/অম্মা)
• আজ = 오늘 (অনুল)
• গতকাল = 어제 (অজে)
• আগামীকাল = 내일 (নেইল)
• লবণ = 소금 (সোগৌম) 
• চিনি = 설탕 (সলথাং)
• কি = 뭐 (মৌ)
• দুঃখিত = 미안해요 (মিআনহেয়ো)

এসকল শব্দের বাংলা ও ইংরেজি অর্থসহ আয়ত্ত করুন। যত বেশি শব্দ মুখস্থ করতে পারবেন, কোরীয় ভাষায় তত স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলতে পারবেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এই শব্দগুলো বিনিময় করতে পারেন। এতে আপনার কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায় কার্যকর ভাবে প্রয়োগ হবে।

কোরীয় ভাষার বাক্য গঠন

অন্যান্য সকল ভাষার মতোই অর্থ অনুযায়ী শব্দ মিলিয়ে কোরিয়ার হ্যাঙ্গুল ভাষায় বাক্য গঠন করতে পারবেন। ন্যূনতম যোগাযোগের জন্য প্রয়োজনীয় বাক্যগুলো থেকে শুরু করতে পারেন। যেমন: 

(১) তুমি কেমন আছেন? = 어떠 십니까?, (ও-টু-শিম-নি-ফিশ?)

(২) তোমার সাথে দেখা হয়ে ভালো লাগলো = 만나서 (ম্যান-না-তাই-বান-ও-ইও)

এ ধরনের শব্দগুলো নিয়মিত চর্চা করুন। বাক্য গঠন শিখতে বেশি পরিমাণে কোরীয় ভাষা পড়তে হবে। বিভিন্ন কোরিয়ান খবর, কোরিয়ান বই, প্রাতিষ্ঠানিক ম্যাগাজিন ইত্যাদি করার মাধ্যমে চর্চা করতে পারেন। ভিন্নভাবে, কোরিয়ান কার্টুন (ইংলিশ সাবটাইটেল সহ) দেখতে ও শুনতে পারেন। বাক্যগুলো শেখার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় তার প্রয়োগের চেষ্টা করুন।

কোরীয় ভাষার সাধারণ ব্যাকরণ শিক্ষা

সকল ভাষার মতোই কোরীয় ভাষাতেও ব্যাকরণিক ব্যবহার রয়েছে, যা ভাষার মূলভিত্তি। যেকোনো ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে চাইলে তার ব্যাকরণ শেখা আবশ্যক। অন্যথায়, কথাবার্তায় শুদ্ধতা থাকবে না। কোরিয়ান ব্যাকরণে বাক্যের গঠন, শব্দের ক্রম ও ক্রিয়া সংযোজন ইত্যাদি বিষয়গুলো প্রধান বিবেচ্য।

কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায়গলোর মধ্যে দক্ষ হওয়ার অন্যতম উপায় ব্যাকরণ শিক্ষা। মৌলিকভাবে ব্যাকরণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোরীয় ভাষায় এসওভি (SOV) কাঠামো ব্যবহার করা হয়। যার গঠন হলো:

• সাবজেক্ট (Subject – S) + অবজেক্ট (Object – O) + ভার্ব (Verb – V)। অর্থাৎ, প্রথমে বিষয়, তারপর বস্তু/ অবজেক্ট, সর্বশেষে ক্রিয়া যুক্ত হয়ে বাক্য গঠিত হয়।

সাধারণত, ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষায় এসভিও (SVO- Subject + Verb + Object) করা হয়। তবে কোরিয়ান, জাপানি এবং জার্মানির কিছু ক্ষেত্রে এসওভি (SOV) ফরম্যাট ব্যবহার করা হয়। কোরীয় ভাষায় বিশেষণগুলো ক্রিয়াপদ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও বাক্যের সময়কালকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বিভিন্ন শব্দে ভিন্নতা আসে।

এছাড়াও কোরিয়ার হ্যাঙ্গুল ভাষায় বহু ব্যাকরণিক প্রয়োগ রয়েছে। কোরীয় ভাষা শিক্ষা বই থেকে বা অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে এই ব্যাকরণ গুলো শিখতে হবে।

প্রতিদিন কোরিয়ান ভাষা চর্চা করুন

কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায়গুলো অনুসরণের পাশাপাশি নিত্য দিনের ব্যবহারে প্রয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাংলাদেশে থেকে কোরীয় ভাষা চর্চা করা কঠিন। কারণ আপনার পরিবার বা আশেপাশের লোকজন এই ভাষায় দক্ষ নয়। 

বর্তমানে কোরিয়ার হ্যাঙ্গুল ভাষা চর্চার সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র হলো কাকাও টক (Kakao Talk) চ্যাটিং অ্যাপ্লিকেশন। এটি কোরিয়ার সর্বাধিক ব্যবহৃত ডিজিটাল মেসেজিং সিস্টেম। এই অ্যাপ্লিকেশনটি ইনস্টল (Install) করে একাউন্ট রেজিস্টার করুন। তারপর কোরিয়ান বন্ধু তৈরি করে, নিয়মিত নেটিভ কোরীয় ভাষায় যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও-

• সোশ্যাল মিডিয়াতে কোরিয়ার ভাষা শিক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন গ্রুপে যুক্ত হন।
• কোরিয়ায় অবস্থানকারীদের সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব করুন।
• দেশের বিভিন্ন কোরীয় ভাষা শিক্ষা একাডেমিতে অংশগ্রহণ।
• নিকটস্থ বন্ধুদের সাথে কথাবার্তা কোরিয়ার হ্যাঙ্গুল ভাষা প্রয়োগ।

উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে আপনি দ্রুত কোরিয়ান ভাষায় প্রাথমিক দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।

শেষকথা 

বিশ্বের অন্যতম প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক দেশ কোরিয়ার ভাষা অনেকটাই সহজবোধ্য। তবে প্রাথমিকভাবে কিছুটা জটিল অনুভূত হতে পারে। কোরিয়ান ভাষা শেখার উপায়গুলো অনুসরণ করে নিয়মিত প্রচেষ্টা করুন। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে ৩-৬ মাসের মধ্যেই আপনি কোরিয়ান ভাষায় সাধারণ দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।